হাইব্রিড ঢেঁড়স বীজ
60.00৳ Original price was: 60.00৳ .55.00৳ Current price is: 55.00৳ .
ঢেঁড়স একটি জনপ্রিয় সবজি যা এর বিশেষ স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। নিচে ঢেঁড়সের স্বাস্থ্য উপকারিতা, কখন এবং কিভাবে এটি রোপণ করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
ঢেঁড়সের উপকারিতা
* হজমশক্তি উন্নত করে: ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজমজনিত সমস্যা কমাতে কার্যকর।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ঢেঁড়সে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় এটি পেট ভরা অনুভূতি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। এটি ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই উপকারী।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ঢেঁড়সে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। এটি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতেও সহায়ক।
* হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে, যা হৃৎপিণ্ডের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঢেঁড়সে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
* দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: ঢেঁড়সে ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
* হাড়ের স্বাস্থ্য: এতে থাকা ভিটামিন কে এবং ফোলেট হাড়কে মজবুত রাখতে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সহায়ক।
ঢেঁড়স কখন রোপণ করা লাগবে
ঢেঁড়স উষ্ণ আবহাওয়ার একটি ফসল। তাই উচ্চ তাপমাত্রা এর ভালো ফলনের জন্য উপযুক্ত।
* উপযুক্ত সময়: বাংলাদেশে ঢেঁড়স চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস। এই সময়ে বীজ বপন করলে বর্ষা শুরুর আগেই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
* অন্যান্য সময়: কিছু জাতের ঢেঁড়স বর্ষার সময়েও চাষ করা যায়, তবে বর্ষার কারণে অতিরিক্ত পানি জমা হলে গাছের ক্ষতি হতে পারে।
ঢেঁড়স কিভাবে রোপণ করতে হবে
ঢেঁড়স সাধারণত সরাসরি বীজ থেকে রোপণ করা হয়। এর জন্য খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।
* জমি তৈরি:
* মাটি: জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি ঢেঁড়স চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
* সার: জমি প্রস্তুতের সময় প্রতি বর্গমিটারে ১.৫ থেকে ২ কেজি পচা গোবর বা কম্পোস্ট সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন। এর সাথে পরিমাণমতো টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
* গর্ত বা লাইন তৈরি: ছোট পরিসরে চাষের জন্য সারি করে গাছ লাগানো ভালো। একটি সারি থেকে অন্যটির দূরত্ব ৫০ সেমি এবং একটি গাছ থেকে অন্যটির দূরত্ব ৩০ সেমি রাখতে হবে।
* বীজ রোপণ:
* প্রতিটি গর্তে ২-৩টি বীজ রোপণ করুন এবং বীজগুলো প্রায় ২-৩ সেমি গভীরে পুঁতে দিতে হবে।
* ভালো অঙ্কুরোদগমের জন্য বীজ রোপণের ২৪ ঘণ্টা আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
* চারা পরিচর্যা:
* পাতলাকরণ: যদি সব বীজ থেকে চারা গজায়, তাহলে সবচেয়ে সুস্থ চারাটি রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে।
* জলসেচ: মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত হালকা সেচ দিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত পানি না জমে, কারণ এতে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে।
* আগাছা দমন: গাছের বৃদ্ধি ভালো রাখতে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করা জরুরি।
* সার প্রয়োগ: চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পর গাছের গোড়ায় ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই ঢেঁড়স চাষ করতে পারবেন এবং এর পুষ্টিগুণ উপভোগ করতে পারবেন।
