ফুলকপি বীজ
60.00৳ Original price was: 60.00৳ .55.00৳ Current price is: 55.00৳ .
ফুলকপি একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি যা বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি শুধু সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। নিচে ফুলকপির বিভিন্ন গুণাগুণ, কখন এবং কীভাবে এটি রোপণ করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
ফুলকপির উপকারিতা
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
* হজমশক্তি উন্নত করে: ফুলকপিতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজমজনিত সমস্যা কমাতে কার্যকর।
* ওজন কমাতে সহায়ক: ফুলকপিতে ক্যালোরি খুব কম এবং ফাইবার বেশি থাকে। এটি খেলে পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
* হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য: এতে থাকা সালফোরাফেন এবং পটাসিয়াম হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। সালফোরাফেন ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
* মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: ফুলকপিতে কোলিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ফুলকপি কখন রোপণ করা লাগবে
ফুলকপি ঠান্ডা আবহাওয়ার ফসল, তাই শীতকাল এর চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
* উপযুক্ত সময়: সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস ফুলকপির বীজ বা চারা রোপণের সবচেয়ে ভালো সময়। এই সময়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে, যা ফুলকপির ভালো বৃদ্ধির জন্য আদর্শ।
ফুলকপি কিভাবে রোপণ করতে হবে
* বীজতলা তৈরি:
* ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করে একটি ছোট ট্রে বা পাত্রে উর্বর মাটি, গোবর সার এবং বালি মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করুন।
* বীজগুলো হালকাভাবে ছড়িয়ে তার ওপর সামান্য মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
* বীজ থেকে চারা গজাতে প্রায় ৫-৭ দিন সময় লাগে। যখন চারাগুলোতে ৪-৫টি পাতা গজাবে এবং প্রায় ১০-১৫ সেমি লম্বা হবে, তখন সেগুলোকে মূল জমিতে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
* জমি বা টব তৈরি:
* মাটি: জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দো-আঁশ বা এঁটেল দো-আঁশ মাটি ফুলকপি চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।
* সার: জমি প্রস্তুতের সময় প্রতি বর্গমিটারে ২-৩ কেজি পচা গোবর বা কম্পোস্ট সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিন।
* দূরত্ব: একটি চারা থেকে অন্যটির দূরত্ব ৬০ সেমি এবং একটি সারি থেকে অন্যটির দূরত্ব ৬০ সেমি রাখা উচিত।
* চারা রোপণ:
* চারাগুলো বীজতলা থেকে তুলে সাবধানে মূল জমিতে রোপণ করুন। খেয়াল রাখবেন যেন শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
* চারা রোপণের পর হালকা সেচ দিন।
* পরিচর্যা:
* জলসেচ: নিয়মিত মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা করে প্রয়োজনমতো সেচ দিন। গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* সার প্রয়োগ: চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পর এবং মাথা বাঁধার সময় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
* রোগ ও পোকা দমন: ফুলকপিতে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে পোকা দমন করতে পারেন।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি সফলভাবে আপনার বাগানে বা টবে ফুলকপি চাষ করতে পারবেন।
